চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে সিসি ব্লক দেবে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদীর পাড়ের সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। তাদের দাবি, টেকসই ও মজবুত বাঁধ নির্মাণ না করা হলে যেকোনো সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন পেলেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বাড়ছে মেঘনার পানি।দেবে গেছে চাঁদপুরের শহর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি জায়গায় সিসি ব্লক। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ঠেকান যাচ্ছে না ভাঙন। হুমকিতে বাঁধের টিলাবাড়ি, যমুনা ঘাট, হরিসভা, রওনা গোয়াল ও ডাকাতিয়া নদীর নতুন বাজারের অন্তত ১০৯ মিটার এলাকা।
এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের দিন কাটছে ভাঙন আতঙ্কে। বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাদের। মেরামত বা সংস্কার নয়, টেকসই, মজবুত ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শহর রক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুনঃনির্মাণের প্রকল্প পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম রেফাত জামিল বলছেন, মেঘনার ভাঙন থেকে শহর রক্ষায় এখন পর্যন্ত অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। তবে ভিটে হারা নদী তীরের এসব মানুষকে নতুন করে রক্ষায় ও স্থায়ীভাবে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি চাইছেন তারা।
পাউবো’র এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০১৯ এর ভাঙনে এ পর্যন্ত তিনবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ডিপিপি দাখিল করে। সবশেষ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার একটি ডিপিপি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তবে বাঁধ শক্তিশালী ও টেকশই করতে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির মাধ্যমে চূড়ান্ত ডিপিপি দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও, আগামী দেড় মাসের মধ্যে প্রকল্পের পরিধি এবং কারিগরি বিষয়াদি চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো গেলে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৪ কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা পাবে বলেও জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।